করোনার চতুর্থ ঢেউয়ে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ। তবে, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে এরইমধ্যে বিধি নিষেধ আরোপ করায় আন্দোলনে নেমেছে নাগরিকরা।
সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে রাশিয়া, ইউক্রেন, রোমানিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতেও। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সোমবার থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি হয়েছে অস্ট্রিয়াতে। তবে, প্রতিদিনই লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভে রাস্তায় নামছে দেশটির নাগরিকেরা। এছাড়া নেদারল্যান্ডস, চেক প্রজাতন্ত্র, বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত।
করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউয়ে বিপর্যস্ত জার্মানিতে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। মহামারি শুরুর পর সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখছে দেশটি। হাসপাতালগুলোতে এরইমধ্যে দেখা দিয়েছে শয্যা ও আইসিইউ সংকট। এ অবস্থায় নাগরিকদের নৈতিক দায়িত্ব থেকেই টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর বিধিনিষেধ জারির কথাও ভাবছে দেশটির প্রশাসন।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়ান স্পান জানান, ডেল্টার কারণে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। নাগরিকদের দ্রুত টিকা নিতে হবে। শীত মৌসুমের আগে টিকা না নিলে মরতে হবে। সামনে ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে।
এদিকে, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জার্মানি ও ডেনমার্ক ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ কোটি ৮১ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৫ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৪২ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা চার কোটি ৭৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে সাত লাখ ৭২ হাজার ৪৪১ জন। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১২ হাজার ৭৮২ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ২০ লাখ ২০ হাজার ৪১২ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৪৫ লাখ ১৮ হাজার ৯০১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬৫ হাজার ৯১১ জনে।